হাতবইটিতে দেশের বিভিন্ন কৃষি পরিবেশ অঞ্চলের জন্য ফসলধারা ভিত্তিক সারের মাত্রা সুপারিশ করা হয়েছে। সার সুপারিশমালা প্রণয়নে কৃষি পরিবেশ অঞ্চলের বৈশিষ্ট্যগুলো বিশেষ করে মাটির উর্বরতা ও ভূমি শ্রেণি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। হাতবইটিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বিভিন্ন কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দেশের বিভিন্ন কৃষি পরিবেশ অঞ্চলে বিদ্যমান প্রধান প্রধান ফসলধারার সংগৃহীত তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ফসলধারায় রবি ফসলকে প্রথম, খরিফ-১ মৌসুমের ফসলকে দ্বিতীয় এবং খরিফ-২ মৌসুমের ফসলকে তৃতীয় ফসল হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। সার ব্যবহারের পূর্ব বর্ণিত নীতিমালা অনুসরণপূর্বক ফসলধারাতে বিদ্যমান ফসলসমুহের সার সুপারিশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ফসলের সার সুপারিশমালা প্রণয়নে প্রথমে মৃত্তিকা বিশ্লেষণের ফলাফলের ভিত্তিতে বিভিন্ন ফসলের উপর বিভিন্ন কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্বিবিদ্যালয়ে পরিচালিত গবেষণার মাধ্যমে একক ফসলভিত্তিক সারের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ফসলধারার প্রথম ফসল অর্থাৎ রবি ফসলে পূর্ণ মাত্রায় সার ব্যবহরের সুপারিশ করা হয়েছে। ফসলধারার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ফসলে অর্থাৎ খরিফ-১ ও খরিফ-২ মৌসুমের ফসলে ইউরিয়া সার পুর্ণ মাত্রায় ব্যবহরের সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় ফসলে ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সারের মাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী রবি মৌসুমের ফসল ও এতে ব্যবহৃত সারের মাত্রা বিবেচনায় নেয়া হয়েছে এবং পুর্ব বর্ণিত নীতিমালা অনুসরণপূর্বক এসব সারের মাত্রা কিছু কমানো হয়েছে। হাতবইটিতে কোন কৃষি পরিবেশ অঞ্চলের সার্বিক মৃত্তিকা উর্বরতা বিবেচনায় সেঅঞ্চলের সার সুপারিশমালা প্রণয়ন ও লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। একটি কৃষি পরিবেশ অঞ্চল অনেক বড় এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ফলে একই কৃষি পরিবেশ অঞ্চলের মধ্যে বিভিন্ন জমির মৃত্তিকা উর্বতার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকে। তাই কোন জমির মৃত্তিকা নমুনা বিশ্লেষণ করে সেফলাফলের ভিত্তিতে সারের মাত্রা ব্যবহার করতে পারলে তা অধিক কার্যকরী হবে বলে বিবেচনা করা যেতে পারে।